ফর্সা হওয়ার সবচাইতে ভালো সাবান - সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
All Over BD 24
৮ মে, ২০২৫
প্রতিদিনের জীবনে আমরা নানারকম ধুলাবালি, রোদ আর দূষণের মধ্যে চলাফেরা করি এতে
ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকটাই হারিয়ে যায় বিশেষ করে মেয়েরা নিজেদের ত্বক নিয়ে
সবসময় একটু বেশি সচেতন থাকেন, কারণ ত্বকের সৌন্দর্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। তাই
ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল রাখতে কোন সাবানটা সবচেয়ে ভালো সেই প্রশ্নটাই আজকের মূল
আলোচ্য বিষয়।
অনেকে বাজার থেকে দামি সাবান কিনে ব্যবহার করেন, আবার কেউ কেউ প্রাকৃতিক উপাদানে
তৈরিহার্বাল সাবানের উপর ভরসা রাখেন। কিন্তু সব সাবান কি আদৌ ফর্সা করে আর ফর্সা
হওয়ার জন্যকোন কোন সাবানটা বেশি উপযোগী এই ব্লগের মাধ্যমে আমরা সেটা
সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো।
আজকাল প্রায় সব মেয়েরাই চায় একটা উজ্জ্বল মসৃণ আর পরিষ্কার ত্বক। কিন্তু রোদ,
ধুলাবালি আর মানসিক চাপের কারণে আমাদের ত্বক ধীরে ধীরে কালচে হয়ে যায়। তখনই
দরকার হয় এমন একটি ভালো সাবানের জাতক ফর্সা করতে সাহায্য করবে। কিন্তু প্রশ্ন
হল, বাজারে এত ধরনের ফর্সা হওয়ার কারণ থাকলেও কোনটি আসলেই কার্যকর? এই প্রশ্নের
উত্তর পেতে হলে আমাদের জানতে হবে উপাদান আছে এবং সেটা ত্বকে কিভাবে কাজ করে।
ফর্সা হবার ভালো সাবানগুলো সাধারণত এমন উপাদান দ্বারা তৈরি হয় যা ত্বকের উপরিভাগ
পরিস্কার করে এবং ত্বকের ভেতরের ডেট সেল তুলে ফেলে এবং ভেতর থেকে উজ্জ্বলতা
ফিরিয়ে আনে। এতে সাধারণত লেবুর রস, এলোভেরা হলুদ, গ্লিসারিন ভিটামিন-সি ইত্যাদি
উপাদান থাকে এগুলো শুধু ত্বক পরিষ্কারই করে না বরং ধীরে ধীরে তখন রাতে সাহায্য
করে। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, কোন সাবানি ম্যাজিকের মতো রাতারাতি ত্বক ফর্সা
করতে পারে না এটি সময় নেয় এবং নিয়মিত ব্যবহার করলেই ভালো ফল পাওয়া যায়।
ফর্সা হবার সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ত্বকের ধরন
বুঝে সে অনুযায়ী সাবান বেছে নেওয়া। কারণ ত্বক শুষ্ক তেল-তেলে, আবার অনেক সময়
সংবেদনশীল হয় তাই ফর্সা হওয়ার সাবানের জন্য আগে তাকে ধরন বুঝে নিতে হবে।যেমন
শুষ্ক ত্বকের জন্য গ্লিসারিন যুক্ত সাবান ভালো আবার তেল-তেলে ত্বকের জন্য লেবু বা
নিম জাতীয় উপাদান যুক্ত সাবান কার্যকর। ত্বক যতটা পরিষ্কার থাকবে ততই ফর্সা
হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
সবচাইতে ভালো ফর্সা হবার সাবান শুধু ত্বক ফর্সা করে না ত্বকের কালচে দাগ ব্রণ বা
রোদে পোড়া দাগও হালকা করে। তবে বাজারে অনেক নামিদামি ব্র্যান্ডের সাবান থাকলেও
সবার জন্য এক সাবান কাজ করে না। তাই কেউ যদি একটি সাবান দিয়ে ভালো ফল না পান
তাহলে হতাশ না হয়ে আরেকটি ভালো মানুষ সাবান দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। নিজের
ত্বকের জন্য কোনটি সবচেয়ে উপযোগী তা খুঁজে পাওয়াটাই সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি।
সাবান তৈরির মূল উপাদান কি
সাবান বলতে আমরা সাধারণত বুঝি এমন একটি জিনিস যা দিয়ে ত্বক বা কাপড় পরিষ্কার
করা যায়। কিন্তু আসলেই কি শুধু পরিষ্কার করাই সাবানের কাজ ? মোটেই তা নয়। ভাল
একটি সাবান ত্বক পরিষ্কার এর পাশাপাশি ত্বকের যত্নও নেয়, এই যত্ন নির্ভর করে
সাবানের ভেতরে থাকা উপাদানের উপর তো চলুন জেনে নেই একটি ভালো সাবান তৈরির মূল
উপাদান গুলো কি কি।
সাবান তৈরির উপাদানের কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই বলা যায় চর্বি বা তেল এবং
ক্ষার সাধারণত গবাদি পশুর চর্বি নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা পামওয়েল ব্যবহার
করা হয়। এই চর্বি বা তেল যখন হাড়ের সঙ্গে মিশে যায় তখন একটি রাসায়নিক
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাবান তৈরি হয়। আর এই প্রক্রিয়াতে সাবানের পরিষ্কার
করার গুণ আসে। এরপর সাবানের যোগ করা হয় গ্লিসারিন যা ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে
সাহায্য করে। গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ত্বকের কোমলতা আনে এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই
উপকারী। অনেকে আবার হারবাল উপাদানও যোগ করেন যেমন তুলসী,নিম, লেবু এলোভেরা, হলুদ
ইত্যাদি এই উপাদান গুলোতে ত্বকের ব্রণ দাগ বা রোদে পুড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য
করে। তাই আজকাল বাজারে হারবাল বা প্রকৃতিক উপাদানে তৈরি সাবান বেশি জনপ্রিয়।
ভালো গন্ধের জন্য অনেক সময় সাবানে সুগন্ধি যোগ করা হয়। কিন্তু সব সুগন্ধি
ত্বকের জন্য উপকারী নয়, অনেক সময় কেমিক্যাল জাতীয় ঘ্রাণ সংবেদনশীল তাকে
এলার্জি বা চুলকানির কারণ হতে পারে। তাই যারা সমবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাদের
উচিত এবং সাবান ব্যবহার না করা যাতে কেমিক্যাল ঘ্রাণ থাকে বা না থাকে। নিরাপদ
সাবান চেনার উপায় হল তার উপাদানের তালিকা ভালোভাবে দেখে নেওয়া। অবশেষে একটি কথাই
বলা যায়, একটি ভালো সাবান তৈরিতে শুধু পরিষ্কার করার উপাদান থাকলেই হয় না,
ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখার উপযুক্ত বাজানো থাকতে হয়। তাই বাজারে সাবান কেনার
সময় শুধু ব্র্যান্ড দেখে নয় সাবানে গায়ে লেখা উপাদান গুলো পড়ে দেখে তবেই বেছে
নেওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এতে আপনি পাবেন পরিষ্কার ত্বক উজ্জ্বলতা আর
আত্মবিশ্বাস সব
কোন সাবানে ত্বক ফর্সা হয়
ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য শুধু পরিষ্কার করলেই হবে না, বরং ত্বকের গভীরে কাজ করতে
পারে এমন উপাদান থাকতে হবে। তো সাবান কেবল ময়লা দূর করে, কিন্তু ভালো ফর্সা
হওয়ার সাবান ত্বকের মরাকোষ খুলে ফেলে দাগ হালকা করে এবং নতুন পর গঠনে সাহায্য
করে। এ কারণে সাবান জেন ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান সমৃদ্ধ হয়, সেটাই মূল বিষয়।
যেমন অনেক সাবানের ভিটামিন-সি লেবুর রস এলোভেরা এসিড থাকে যেগুলো ত্বককে ধীরে
ধীরে ফর্সা করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে লেবুর নির্যাস যুক্ত সাবান ত্বকের কালচে
ভাব কমিয়ে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এ ছাড়া কিছু সাবানে থাকে
নিয়াসিনামাইড যা ত্বকের পিগমেন্টেশন হালকা করে।
অনেকেই মনে করেন শুধুমাত্র দামি সাবানি ভালো, কিন্তু বাস্তবে অনেক বেশি বা হারবাল
সাবানের কার্যকরী উপাদান থাকে। যেমন তেজপাতা, তুলসী, হলুদ, মধু এই উপকারী হারবাল
সাবান সাধারণত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম দেয়। তাই নিয়মিত ব্যবহারে ফর্সা ত্বক
পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ধৈর্য, ত্বক
একদিনে ফর্সা হয় না। ভালো মানের উপযুক্ত সাবান যদি নিয়মিত ব্যবহার করা হয় এবং
সাথে রোদে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা হয় তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধীরে ধীরে
ফিরে আসে খাওয়া-দাওয়া ও পানি পানি থেকেও খেয়াল রাখতে হবে।
মেয়েদের জন্য ভালো ফর্সা হওয়ার সাবান
মেয়েদের ত্বক সাধারণত তুলনামূলক ভাবে বেশি সংবেদনশীল হয় এবং ত্বকের যত্নে
প্রয়োজনে একটু বেশি। বাইরে বের হলে রোদ ধুলাবালিও মেকাপের ভারে ত্বকের উজ্জ্বলতা
কমে যায়। তাই ফর্সা হওয়ার জন্য এমন সাবান ব্যবহার করা দরকার যাতে পরিষ্কার করার
পাশাপাশি পুষ্টি ও দেয়। বর্তমানে মেয়েদের জন্য অনেক ব্র্যান্ড বিশেষভাবে ফর্সা
হওয়ার সাবান তৈরি করছে। মেয়েদের জন্য ভালো ফর্সা হওয়ার সাবান হতে হলে তার মধ্যে
থাকতে হবে কিছু কার্যকরী উপাদান যেমন লাইক্যারস, ভিটয়ার-সি, কোলাজেন,
গ্লিসারিন ইত্যাদি এই উপাদানগুলো ত্বক পরিস্কার করে ত্বকের গভীরে পুষ্টি দেয় এবং
উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে কিছু সাবানে আবার ইউভি প্রোটেকশন থাকে যা বাইরে যাওয়ার
সময় রোদের ক্ষতিকর রশ্নি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
হারবাল সাবান বা প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত সাধারণ মেয়েদের জন্য খুবই ভালো। এগুলো
ব্রণ কমাতে ও ফর্সা হতে সাহায্য করে। আবার এলোভেরা যুক্ত সাবান ত্বকে ঠান্ডা রাখে
ও উজ্জলতা বাড়ায়। যদি কারো তাকে ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে নিম বা লেবুযুক্ত
সাবান খুব কার্যকর হতে পারে। মেয়েদের মাঝে সব উপাদান খুবই
জনপ্রিয়। সাধারণত মেয়েরা সাবান কেনার সময় শুধু গন্ধ ও প্যাকেট দেখে সাবান
কিনে ফেলে যা মোটেও উচিত নয়। আপনার ত্বক শুষ্ক নাকি তৈলাক্ত না মিশ্র সেটা আগে
চিহ্নিত করতে হবে তারপর সে অনুযায়ী উপাদান মিলিয়ে সাবান বেছে নিতে হবে।
মেয়েদের ত্বকে কেমিক্যাল কম থাকলে সেটা বেশি ভালো হয়।
সর্বোপরি বলা যায় মেয়েদের জন্য ভালো ফর্সার সাবান মানে এমন এক পণ্য, যা ত্বককে
ফর্সা করে দাগ কমায়, ব্রণ রোধ করে এবং নরম রাখে। নিয়মিত ব্যবহারে এই সাবান
ত্বকে স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা আনতে পারে। তবে একসাথে স্ক্রাবার, টোনার ও ভালো
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে ফলাফল আরো ভালো পাওয়া যায়।
ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি সাবান
ফর্সা হবার ডাক্তারি সাবান আসলে কি সেটা আগে আমাদের জানতে হবে। ফর্সা হওয়ার
ডাক্তারি সাবান বহু ধরনের হতে পারে। ফর্সা হওয়ার জন্য বাজারে বহু ধরনের সাবান
পাওয়া যায় তবে সব সাবান গুলোই ডাক্তারি সাবান নয়, ডাক্তারি সাবান বলতে বোঝায়
যেসব সাবান ডারমাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী তৈরি এবং
ত্বকের জন্য নিরাপদ। এসব সাবান সাধারণত উজ্জ্বলতা বাড়ানো দাগ দূর করা এবং ময়লা
পরিস্কারে কার্যকর হয়। এগুলোতে ক্ষতিকর কেমিক্যাল এর পরিমাণ কম থাকে এবং ত্বকের
জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান যেমন ভিটামিন-সি গ্লিসারিন সালফার দেওয়া থাকে।
বাংলাদেশের প্রচলিত কিছু ডাক্তারি সাবান রয়েছে যেমন বাংলাদেশি কিছু জনপ্রিয়
ডাক্তারি সাবানের মধ্যে রয়েছে Dermatile Soap, Kojin San Skin, Lightning Soap,
Gluta-C Soap ইত্যাদি। বিশেষ কিছু ডাক্তারদের মতে হাইড্রকুইনোন, পারাবেন ও
স্ট্রেয়োয়েড মুক্ত সাবান ব্যবহার করে উত্তম। অনেক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বায়োডার্মা ও
নিরাপদ হিসেবে সুপারিশ করে থাকেন। যেগুলা ত্বকের উজ্জলতা বজায় রাখে এবং ব্রণ বা
র্যাশের ঝুঁকি কমায়।
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক সাবান ব্যবহার করলে ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বল হতে
শুরু করে। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় যার ফলে ত্বক সতেজ দেখায় সেই
সঙ্গে ত্বকের কালচে দাগ ও রোদে পোড়া দাগও অনেকটাই হালকা হয় অনেক ক্ষেত্রে
চুলকানি এলার্জি বা লালচে ভাব কমে আসে। ডাক্তারি সাবান ব্যবহার করতে হলে দিনে
দুইবার (সকাল ও রাতে) মুখ পরিষ্কার করা উচিত। তবে সবসময় আগে ত্বকের একটি ছোট
অংশে ব্যবহার করে দেখা জরুরি, কেননা অনেক সময় ত্বক ভেদে প্রতিক্রিয়া ভিন্ন হতে
পারে। যদি চুলকানি বা জ্বালা ভাব ও লালচে ভাব দেখা যায় তবে ব্যবহার বন্ধ করে
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বাজারে নানা বিজ্ঞাপন প্রচলিত সাবান থাকলেও
সব সময় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে সাবান ব্যাবহার ই নিরাপদ।
হাত-পা ফর্সা করার দেশি ঘরোয়া উপায়
গরম আবহাওয়ায, রোধ-ধুলাবালি এবং নিয়মিত যত্নের অভাবে হাত পা কালচে হয়ে যেতে
পারে অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করেন। যা ত্বকের
জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অথচ আমাদের আশেপাশেই আছে অনেক সহজলভ্য দেশীয় উপাদান
যেগুলো ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ভাবে হাত পা ফর্সা করা যায়। নিচে এমনই পাঁচটি
কার্যকর ঘরোয়া এবং দেশী উপায় এর কথা তুলে ধরা হলোঃ
উপাদানের নাম
উপকরণ
পরিমাণ
লেবু ও চিনি স্ক্রাব
লেবুর রস ও চিনি
২চামচ, ১চামচ
বেসন,দুধ ও হলুদের প্যাক
বেসন,কাচা দুধ, হলুদ গুঁড়া
২ চামচ, ২ চামচ বা আধা চা চামচ
আলুর রস ও মুলতানি মাটির মাস্ক
আলুর রস, মুলতানি মাটি
২ চামচ, ১ চামচ
চালের গুড়া ও টক দই প্যাক
চালের গুড়া, টক দই
১ চামচ, ২ চামচ
নারকেল তেল ও লেবুর রসের ম্যাসাজ
নারকেল তেল, লেবুর রস
২ চামচ, ১ চামচ
ব্যাবহার বিধি
লেবু ও চিনির স্ক্রাবঃ হাত ও পায়ে মিশ্রণটি মেসেজ করুন ৫ মিনিট
তারপর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করেন তাহলে
ভালো ফলাফল পাবেন।
বেসন দুধ হলুদ প্যাকঃ ব্যাসন দুধ হলুদ প্যাক মিশিয়ে পেস্ট তৈরি
করুন এবং ২০ মিনিট তকে লাগিয়ে রাখুন। শুকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন ব্যবহার করুন তাহলে ভালো ফলাফল পাবেন।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির মাস্কঃ তৈরি করে ১৫মিনিট লাগিয়ে রাখুন ও
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সাপ্তাহিক দুই দিন ব্যবহার যোগ্য।
চালের গুড়া ও টক দই প্যাকঃ মিশিয়ে পেস্ট করে লাগান ১৫ মিনিট
রেখে ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেলুন তাহে দুই থেকে তিনবার ভালো করে লাগালে তাড়াতাড়ি
ফল পাওয়া যায়।
নারিকেলের তেল ও লেবুর রসের ম্যাসাজঃ রাতে ঘুমানোর আগে মেসেজ করুন ১০
মিনিট চাইলে পানিতে ধুয়ে ফেলুন বা রেখে ঘুমাতে পারেন।
ছেলেদের ফর্সা হওয়ার উপযোগী সাবান
বাংলাদেশের আবহাওয়া ধুলাবালি ও রোদে ছেলেদের ত্বক খুব সহজেই কালচে হয়ে যায়।
তাই ছেলেদের জন্য ফর্সা হওয়ার উপযোগী সাবান বেছে নেওয়া সময় ও ত্বকের ধরন বুঝে
নেওয়া অনেক জরুরি। অনেক ছেলের ত্বক তৈলাক্ত, তো কারো আবার রুক্ষ। সাধারণ
মেয়েদের তুলনায় মোটা ও রুক্ষ হয় তাই সাবানও চাই অতিরিক্ত পরিষ্কারের ক্ষমতা,
বাংলাদেশের ফর্সা হওয়ার জন্য ছেলেদের সাধারণত "Kojie San Soap", "Fair and
Lovely Men Soap" এবং "Luster Skin" ব্যাবহার করে থাকেন। এদের মধ্যে kojie San
সবচাইতে বেশি জনপ্রিয়, কারণ এতে থাকে প্রাকৃতিক কোজিন এসিড যা ত্বক উজ্জ্বল করতে
সাহায্য করে।
আরো একটি ভালো অপশন হল "Gluta-C Instanse Whitning Soap" যা ছেলেদের ত্বকে
ব্যবহারযোগ্য এবং ময়লা তেল ও দাগ কমাতে কার্যকর। এগুলো ত্বকের ময়লা দূর করে,
রোদে পোড়া দাগ হালকা করে এবং নিয়মিত ব্যবহারে উজ্জ্বলতা বাড়ায় তবে সাবান
ব্যবহারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি পান সানস্ক্রিন ব্যবহার ও ঘুম ঠিক রাখা জরুরি।
ফর্সা হবার জন্য ক্যামিক্যাল যুক্ত সাবানের ফাদে না পড়ে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি
সাবান ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এছাড়া ত্বকের কোন জটিল সমস্যা থাকলে অভিজ্ঞ
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রণের জন্য কোন সাবান ভালো
গ্রহণের সমস্যা ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে অনেকের মাঝেই দেখা যায় সাধারণত তৈলাক্ত
ত্বকে ধুলাবালিতে ঘোরাফেরার বা হরমনের কারণে ব্রণ হয়। ব্রণের চিকিৎসায়
ব্যবহারযোগ্য সাবান হতে হবে এমন যা অতিরিক্ত তেল ও ব্যাকটেরিয়া দূর করে কিন্তু
ত্বককে শুষ্ক করে না। বাংলাদেশে ব্রণের জন্য জনপ্রিয় কিছু সাবানের মধ্যে রয়েছেঃ
"Acnelak Soap, Acnec Soap, Sebamed Soap" এগুলা সাধারণত স্যালিসাইলিক এসিড বা
সালফারযুক্ত হয় যা ব্রণের জীবাণু মেটাতে সাহায্য করে ও ত্বক পরিষ্কার রাখে।
বিশেষজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা বলেন, ব্রণের সাবান দিনে দুইবার ব্যবহার
করাই যথেষ্ট। অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক শুষ্ক ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অনেকেই মনে
করেন যে মুখে বেশি ধোয়া ভালো কিন্তু এতে ত্বকের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায় এবং
এর জন্য ব্রণ আরো বাড়তে পারে। তাই ভালো মানের মেডিকেটেড সাবান যেমন Clinsol বা
Sebamed এগুলো নিয়মিত ব্যবহার থাকলে ত্বক ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়। সাবান এর
পাশাপাশি পরিমিত খাদ্যাভ্যাস পর্যাপ্ত ঘুম এবং পানি পান করাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে, প্রয়োজনের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ফর্সা হবার সাবানের সাধারণ পার্শপ্রতিক্রিয়া
এই ধরনের সাবান ব্যবহারের পর প্রায় কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় প্রথমত
অনেকের ত্বক চুলকানি লালচে ভাব, ফুসকুড়ি বা জালা ভাব দেখা দেয় কিছু ক্ষেত্রে
ত্বক এতটাই, শুষ্ক হয়ে যায় যে ফেটে যেতে পারে। অনেক সময় রোদে গেলে ত্বক আরো
কালো বা দাগ যুক্ত হয়ে যায়। যাদের সংবেদনশীল ত্বক রয়েছে তাদের জন্য এই সাবান
আরো বেশি ক্ষতির কারণ হতে পারে আবার কিছু সাবান ত্বকের উপরের স্তর পাতলা করে ফেলে
ফলে বাইরের ধুলাবালি ও জীবাণু সহজেই ঢুকে ত্বকে ইনফেকশন তৈরি করে। এই
প্রতিক্রিয়াগুলো যদি অবহেলা করা হয় তবে দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে এ
কারণে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের সাবান ব্যবহার করা একদম ঠিক নয়।
অনেক ফর্সা হওয়ার সাবানে পারদ থাকে যা এক ধরনের বিষাক্ত ধাতু এটি কিডনি নার্ভ
সিস্টেম ও মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। হাইড্রোকুইন নামক এক ধরনের উপাদান ত্বকের
মেলানিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, যা ত্বককে দুর্বল করে দেয় দীর্ঘদিন ব্যবহার করার
পরে ত্বকের স্বাভাবিক গঠন নষ্ট হয়ে যায় ত্বক পাতলা হয় এবং রক্তনালী গুলো দেখা
যায় যা ক্যান্সারের আশঙ্কা ও বাড়াতে পারে। ক্যান্সারের আশঙ্কা থেকে বিশ্বের
অনেক দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ক্ষতিকর ফর্সা কারণ উপাদান নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু আমাদের দেশে এখনো অনেক কোম্পানি অনিয়ন্ত্রিতভাবে এই সাবান বিক্রি করছে
ফলে সচেতন না হলে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি ডেকে আনবো। তাই ফর্সা হওয়ার লোভে
ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার একেবারেই বর্জন করা উচিত।
উপসংহারঃ ফর্সা হওয়ার সবচাইতে ভালো সাবান
ফর্সা হবার সবচেয়ে ভালো সাবান বলতে আসলে এমন একটি সাবান বোঝায় যা ত্বকের
প্রকৃতিক রং ঠিক রেখে ত্বককে উজ্জ্বল মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর রাখে। প্রকৃতিক ও হালকা
উপায় যেমন ভিটামিন, এলোভেরা নীম, হানি, গ্লিসারিন ইত্যাদি সমৃদ্ধ সাবান ভালো
বিকল্প হতে পারে। বাজারের স্কিন ফ্রেন্ডলি মেডিকেটেড সাবান গুলো ডাক্তাররা অনেক
সময় পরামর্শ দিয়ে থাকে। যাদের ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল তাদের জন্য চিকিৎসকের
পরামর্শ অনুযায়ী সাবান ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো। সবশেষে মনে রাখতে হবে, সুস্থ
ও ঝকঝকে ত্বকই আসল সৌন্দর্য - ফর্সা হওয়া নয়।
আশাকরি এই আর্টিকেল পড়ে ফর্সা হবার সবচাইতে ভালো সাবান সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
এই আর্টিকেলে বর্ণিত বিষয় গুলো মেনে চললে ভালো ফলাফল পাবেন বলে আমি মনে করি। এই
আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসা বা মতামত জানানোর থাকলে যোগাযোগ করুন অথবা
মন্তব্য করুন আর আর্টিকেল পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
অল অভার বিডি ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url