কলার স্বাস্থ্য উপকার ও লুকানো ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কলা আমাদের দেশে একটি অতি সহজলভ্য ও সস্তা একটি ফল, এটি দেখতে সাধারণ মনে হলেও এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য গুনাগুন যা অনেকেই জানেন না। একটি কলা আপনার শরীরের জন্য হতে পারে শক্তির উৎস আবার কিছু ভুল উপায়ে এটি খেলে তা হতে পারে আপনার শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ।
এই আর্টকেলের মাধ্যমে আমরা কলার স্বাস্থ্য উপকার ও লুকানো ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। এতে করে আপনি জানবেন কাদের জন্য কলা উপকারী এবং কাদের জন্য নয়। কখন কলা খাবেন আর কখন এড়িয়ে যাবেন এ সম্পর্কে জানতে চাইলে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। কারণ আপনি যা জানেন তার বাইরেও অনেক তথ্য লুকানো রয়েছে এই পরিচিত ফলের ভেতর।পেজ সুচিপত্রঃ কলার স্বাস্থ্য উপকার ও লুকানো ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত
কলার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমাদের দেশে মানুষদের সকালের নাস্তায় কিংবা বিকালের হালকা খাবারে ক্ষুধা মেটাতে
এমনকি মেহমান আপ্যায়নে কলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দামে সস্তা কিন্তু
পুষ্টিতে ভরপুর এই ফল কে অনেকেই ভাবেন পুষ্টির আধার হিসেবে। অনেকেরই ধারণা যে কলা
মানেই শুধু উপকার আর উপকার কিন্তু তাদের তারা এটা জানে না যে অতিরিক্ত বা ভুল
সময়ে কলা খেলে হতে পারে মারাত্মক কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা আজ আমরা জানবো কলার
স্বাস্থ্য উপকার ও লুকানো ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত।
কলার উপকারীতা
- কলা কে বলা হয় শক্তির উৎস কারণ কলা খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি পাওয়া যায়
- হজমে সহায়ক কারণ কলাতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হয় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে ও হৃদপিণ্ড ভালো রাখে
- কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি উপাদান থাকে যা মানুষের মন ভালো রাখতে সাহায্য করে
- পেট ভরিয়ে রাখে অনেক্ষণ তাই অতিরিক্ত খাওয়া কমে এর ফলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
- ত্বকের যত্নে কলা অত্যন্ত সহায়ক কারণ কলার মাস্ক ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়
- পেটের আলসার থাকলে কলা খাওয়া নিরাপদ ও আরাম দেয় কেননা কলা আলসার নিরাময় সহায়ক
- রোগ প্রতিরোধে ক্ষমতা বাড়ায় কলাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সংক্রমনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
কলার অপকারিতা
- কলায় প্রাকৃতিক চিনি বেশি যা রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপদজনক হতে পারে।
- সকালে খালি পেটে কলা খেলে এসিডিটি বা পেটের সমস্যা হতে পারে তাই খালি পেটে কলা খাওয়া ঠিক না।
- অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।
- বেশি পরিমাণে কলা খেলে পেটে গ্যাস হতে পারে পেট ফাঁপা ও গ্যাসের সমস্যা থাকলে বেশি কলা খাওয়া উচিত নয়।
- অতিরিক্ত পটাশিয়াম কিডনি সমস্যায় বাড়াতে পারে তাই কিডনি রোগীদের জন্য কলা খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
- অনেক সময় কলা খাওয়ার পর ঘুম ঘুম ভাব আসে যা সকালের কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
কলা একটি অসাধারণ পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল যদি কলা সঠিকভাবে খাওয়া যায় এর
উপকারিতা অনেক তেমনি না বুঝে খেলে কিছু অপকারিতাও আছে। তাই শুধু শুনে নয় বুঝে
খেতে হবে কলার স্বাস্থ্য উপকার ও লুকানো ক্ষতি সম্পর্কে জানলে আপনি নিজেই
সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কখন কলা খাওয়া আপনার জন্য ভালো হবে আর কখন এড়িয়ে
যাওয়া উচিত।
কলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন
- বিকালের নাস্তায় বা ব্যায়াম করার আগে কলা খাওয়া সবচাইতে ভালো সময়।
- খাবারের পর কিছুক্ষণ পরে কলা খাওয়ার সঠিক সময়।
- ডাইবেটিস রোগীদের জন্য কলা ঝুকিপূর্ণ হয়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে কলা খান।
খালি পেটে কলা খেলে কি হয়
খালি পেটে কলা খেলে কি হয় এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে কিন্তু হয়তো সঠিক উত্তর
অনেকেই পান না। যদি আপনার মনেও এই ধরণের প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে সঠিক যায়গায়
এসেছেন। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক খালি পেটে কলা খেলে ক্ষতি হয় না উপকার হয়।
খালি পেটে কলা খাওয়ার উপকারিতা
- কলায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি যেমন গ্লুকোজ, ফ্রুটোজ, শুক্রোজ শরীরে দ্রুত মিশে শক্তির যোগান দেয়
- যখন সময় কম থাকলে একটি কলা হতে পারে দ্রুত নাস্তার সমাধান
- ভারী কিছু খাওয়ার আগে হালকা খাওয়া হিসেবে কলা খাওয়া কিছুটা আরামদায়ক মনে হতে পারে
খালি পেটে কলা খাওয়ার ক্ষতি
- কলায় প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে যা খালি পেটে হজমের সমস্যা করতে পারে
- খালি পেটে কলা খেলে রক্তের চিনি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ক্লান্তি ভাব বা মাথা ঘোরা অনুভূত হতে পারে
- ফাইবার ও চিনি খালি পেটে খেলে অনেকের পেটে গ্যাস বা অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে
- ট্রফিফ্যান ও ম্যাগনেসিয়াম শরীরকে শিথিল করে যা সকালের কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে
খালি পেটে কলা খাওয়া খুব একটা ভালো অভ্যাস না। বিশেষ করে যদি আপনি গ্যাস্ট্রিক
বা ব্লাড সুগার সংক্রান্ত রোগী হোন। সবচেয়ে ভালো হালকা কিছু খাওয়ার পর কলা
খাওয়া বা সকালে নাস্তার অংশ হিসেবে খাওয়া।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া গর্ভবতী মা এবং ভবিষ্যৎ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী
কেননা কলা এমন একটি ফল জাতে প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান আছে যা একজন
গর্ভবতী মায়ের শরীরের জন্য অত্যান্ত উপকারী বলে বিবেচিত হয়। নিচে আমরা গর্ভবতী
মায়েদের জন্য কলা খাওয়ার উপকারীতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো।
- গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে অনেক মায়ের'ই সকালে উঠে বমি বমি ভাব লাগে কলায় থাকা ভিটামিন বি-৬ এই সমস্যা অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে
- গর্ভাবস্থায় অনেক সময় গর্ভবতী নারী ক্লান্ত অনুভব করেন কলায় থাকা প্রাকৃতিক চিনি যা শরীরের দ্রুত মিশে শক্তির যোগান দেয় ফলে ক্লান্তি ভাব কমে
- গর্ভ অবস্থায় অনেক সময় হরমোন জনিত কারণে হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয় কলায় থাকা ফাইবার এসব সমস্যা সহজেই কমাতে সাহায্য করে।
- হাড় ও মাংসপেশির গঠনে কলা অত্যন্ত সহায়ক কেননা কলায় রয়েছে ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা গর্ভের শিশুর হাড় ও মাংস বেশি গঠনে সহায়তা করে।
- গর্ভাবস্থায় কলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে কারণ কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম যা গর্ভবতী মায়ের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
- গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী নারীর জন্য আয়রনের প্রয়োজন বেশি কলায় আয়রন থাকে যার রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।
- কলাতে থাকা ফোলেট গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা
সকালে কলা খাওয়া শরীর ও মনের জন্য একটি ভালো উদ্ভাব ফলায় থাকা প্রাকৃতিক শর্করা
গ্লুকোজ ও ফ্রুটস সকালে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় যা দিনের শুরুতে কাজ করতে
দারুণভাবে কাজে লাগে। কলাতে থাকা ফাইবার হজম শক্তি ভালো রাখে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কলাতে থাকা পটাশিয়াম হৃদপিন্ডের জন্য স্বাস্থ্য
রক্ষা করে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কলাতে থাকা ভিটামিন বি-৬
মস্তিষ্কে সেরোটোনিন তৈরি করে যা মেজাজ ফুল করে রাখতে সাহায্য করে।
কলাতে থাকা আইরন ও ফলিক এসিড রক্তশূন্যতা কমায় এবং রক্তের লোহিত কণিকা বাড়ায়।
সকালে ব্যায়াম করার পর পেশির খিচুনি কমাতে পটাশিয়াম দারুন কার্যকর। ফাইবার
বেশিক্ষণ পেট ভর্তি রাখে যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। সব শেষ কলায় থাকা
ট্রিপ্টোফ্যান মানসিক চাপ কমিয়ে শান্তি আনে তাই সকালে একটি কলা খেলে শরীর সুস্থ
ও মন প্রফুল্ল থাকে।
কলা খেলে কি ওজন বাড়ে
এই প্রশ্নটি অনেকের মনেই ঘুরে যে সে যদি প্রতিদিন কলা খাই তাহলে কি সে মোটা হয়ে
যাবে? কিন্তু বাস্তবতা হলো কলা একা কখনোই ওজন বাড়ায় না বরং এটি পরিমাণ মতো
খাওয়া হলে শরীরের পক্ষে উপকারী করে। একটি মাঝারি সাইজের গলায় প্রায় ৯০
থেকে ১০০ ক্যালোরি থাকে যা তুলনামূলক ফলের চাইতে কিছুটা বেশি তবে এতে রয়েছে
প্রচুর ফাইবার ভিটামিন মিনারেল এবং প্রাকৃতিক চিনি যার শরীরকে দ্রুত শক্তি দেয়
এবং পেট অনেকক্ষণ ভরা রাখতে সাহায্য করে
আপনি যদি প্রতিদিন ১ থেকে ২টি কলা খান এবং তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ডায়েট ও
শরীরচর্চা চালিয়ে যান তাহলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কম বরং কলা খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার
প্রবণতা কমে ফলের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়।
তবে একসাথে ২ থেকে ৪টি কলা খেলে বা দিনে অনেকবার খেলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমে
যা ধীরে ধীরে ওজন বাড়াতে পারে বিশেষ করে যদি আপনি একেবারে হাঁটাচলা না করেন বা
অলস জীবন যাপন করেন তাহলে এই বাড়তি ক্যালোরি আপনার শরীরে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়ে
যেতে পারে।
সুতরাং বলা যায় কলা মোটা করে না বরং এটি নির্ভর করে আপনি কতটুকু খান কিভাবে খান
তার ওপর। আপনার দৈনন্দিন চলাফেরা কেমন পরিমিত ও সময়মতো কলা খেলে তা হতে পারে ওজন
নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক একটি স্বাস্থ্যকর ফল।
প্রতিদিন কলা খেলে কি কি উপকার হয়
প্রতিদিন একটি বা দুইটি কলা খাওয়া শরীরের জন্য অনেক দিক থেকে উপকারী হতে পারে
কলা একটি সস্তা ও সহজ লক্ষ্য পুষ্টিকর একটি ফল যা নিয়মিত খেলে শরীর ভালো থাকে
তেমনি নানান ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা ও দূর হয়ে যায়।কলা শক্তির দারুন একটি উৎসব এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি যা সহজে আমাদের শরীরে মিশে
যায় এবং দ্রুত শক্তি প্রদান করে তাই সকালে নাস্তায় বা ব্যায়ামের আগে একটি কলা
খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী। কলা হজমের সাহায্য করে এতে থাকা
ডায়োটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই
আছেন যারা হজমের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য কলা হতে পারে প্রাকৃতিক ও সহজ একটি
সমাধান।
পলাতে থাকা আইরন রক্তশূন্যতা রোধে সহায়তা করে এবং ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে ।
কলা গর্ভবতী নারীদের বমি ভাব কমায় ও শিশুর স্নায়ু গঠনে সহায়তা করে এবং পুষ্টি
সরবরাহ করে সব মিলিয়ে প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস ও জীবনের গতি বজায় রাখতে
সহায়তা করে।
রাতে কলা খাওয়ার উপকারিতা
রাতে কলা খাওয়া কিছু কিছু দিক থেকে শরীরের জন্য দারুন উপকারি হতে পারে, কেননা
কলায় থাকা ম্যাগনেসি ও ট্রিপ্টোফ্যান মিলে ঘুম ভালো হতে সাহায্য করে। কারণ এগুলো
শরীরে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন তৈরি করে যা মানসিক চাপ কমিয়ে শান্ত ঘুম আনতে
সাহায্য করে। তা ছাড়া রাতে হালকা ক্ষুধা মেটাতে কলা একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প
কারণ এতে থাকাটা ফাইবার যা পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে যার ফলে খুদা কম লাগে।
তবে একেবারে খালি পেটে অতিরিক্ত পরিমাণে কলা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এতে
করে অনেকের হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে তাই পরিমাণ মত ভাবে রাতে একটি কলা খাওয়া
হালকা পুষ্টির জন্য ভালো হতে পারে।
FAQ
দিনে কয়টি কলা খাওয়া নিরাপদ?
সাধারণত দিনে ১ থেকে ২টি কলা খাওয়া উপকার তবে অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা থাকে।
কলার লুকানো ক্ষতি কি?
অতিরিক্ত কলা খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে, গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ও রক্তে
চিনির মাত্রা বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
রাতে কলা খাওয়া কি ঠিক?
হ্যাঁ তবে একটি অথবা অর্ধেক খাওয়া যেতে পারে
প্রতিদিন কলা খাওয়া কি স্বাস্থ্যকর?
হ্যাঁ তবে একটি অথবা দুইটি এর বেশি না। শারীরিক পরিশ্রম না করলে সেটা ওজন বৃদ্ধির
কারণ হতে পারে।
উপসংহারঃ কলার উপকার ও লুকানো ক্ষতি
কলা আমাদের দেশে একটি সহজ দ্রব্য সাশ্রয়ী পুষ্টিকর ফল যা আমাদের শরীর ও মনের
জন্য অনেক উপকারী তবে যে কোন ভালো জিনিসের মতই পরিমাণের বাইরে গেলেই সেটি ক্ষতির
কারণ হতে পারে। তাই কলার উপকারিতার পাশাপাশি এটার অপকারিতার সম্পর্কেও ধারণা
রাখতে হবে এবং সচেতন ভাবে ও পরিমিতভাবে বিশেষ করে যাদের ডায়াবেটিকস বা হজমের
সমস্যা আছে তাদের একটু বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে খেতে হবে তবেই কলার সুফল
পাওয়া যাবে।
আশাকরী, আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের কলার স্বাস্থ্য উপকার ও লুকানো
ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে সক্ষম হয়েছি। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে
বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। লেখায় ছোট-খাটো ভুলত্রুটি ক্ষমা
সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। লেখা সম্পর্কিত কোন জিজ্ঞাসা থাকলে যোগাযোগ করুন বা
মন্তব্য করুন।
অল অভার বিডি ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;
comment url