কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন ও সুযোগ সুবিধা

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন কেমন, সুযোগ-সুবিধা কি কি, আর কিভাবে আবেদন করবেন সব জানতে চান? এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন কুয়েতের ড্রাইভারদের মাসিক ইনকাম, থাকার ব্যবস্থা, অতিরিক্ত ইনকামের উপায় সমূহ সহ আরো গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।

কুয়েতে-ড্রাইভিং-ভিসায়-বেতন-ও-সুযোগ-সুবিধা

যারা বিদেশে গিয়ে কাজ করতে চান এবং নিরাপদ ও লাভজনক একটি ভিসা করছেন তাদের জন্য কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসা হতে পারে একটি সম্ভাবনাময় সুযোগ। এই আর্টিকেলটি সহজ ভাষায় আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে যেন আপনি প্রতারিত না হয়ে সঠিক পথে বিদেশে যেতে পারেন। সম্পূর্ণ তথ্য জানার জন্য পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সুচিপত্রঃ কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন ও সুযোগ সুবিধা

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন কত

২০২৫ সালে এসে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে ড্রাইভিং পেশায় যাওয়ার চাহিদার মানুষ আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। যারা কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য জেনে রাখা জরুরী বেতন নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের ড্রাইভিং ভিসায় যাচ্ছে তার ওপর। কুয়েতে সাধারণত তিন ধরনের ড্রাইভিং ভিসা দেখা যায়
  • প্রাইভেট ড্রাইভার ভিসা
  • কমার্শিয়াল ড্রাইভার ভিসা
  • ডেলিভারি ড্রাইভার ভিসা

প্রাইভেট ড্রাইভার ভিসা

প্রাইভেট ড্রাইভার ভিসা এ ভিসায় সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ি চালানোর জন্য ড্রাইভার নেওয়া হয়। এই ভিসায় গেলে বেতন সাধারণত ৯০ থেকে ১৫০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হয় যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৩৫ হাজার থেকে ৫৮ হাজার টাকা হয়। সুবিধা বলতে থাকা খাওয়া অনেক সময়য় ফ্রি হয়। 

কমার্শিয়াল ড্রাইভার ভিসা

কোম্পানি ও ব্যবসার কাজে গাড়ি চালানোর জন্য এই ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসায় বেতন সাধারণত.১২০ থেকে ২৫০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হয় যা বাংলাদেশি টাকায় ৪৬ হাজার থেকে ৯৭ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে ওভারটাইম বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়।

ডেলিভারি ড্রাইভার ভিসা

খাবার ডেলিভারি বা কুরিয়ার সার্ভিসের জন্য এ ভিসা দেওয়া হয়। বেতন নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ না থাকলেও প্রতি ডেলিভারির ভিত্তিতে ইনকামের ব্যবস্থা হয়। গড় মাসিক আয় ২০০ থেকে ৪০০ কুয়েতি দিনার পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা বাংলাদেশী টাকায় ৭৮ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে ও সুযোগ সুবিধা বলতে বেশি পরিশ্রম করলে বেশি ইনকাম এর ব্যাবস্থা হয়।
ড্রাইভিং ভিসায় কুয়েতে গেলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোম্পানি থেকে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। অনেক সময় ড্রাইভারদের কাজের দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা হয়ে থাকে। ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে বেতন ও সুযোগ আরো ভালো হতে পারে। যারা ইংরেজি বা আরবীতে ভালো কথা বলতে পারে তারা সহজেই ভালো কোম্পানিতে চাকরি পেতে পারেন।

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে কত টাকা লাগে

২০২৫ সালে এসে কুয়েতের ড্রাইভিং ভিসা নিতে চাইলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট খরচের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তবে এই খরচের পরিমাণ বিভিন্ন কারণে আলাদা আলাদা হতে পারে, এটি নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের ভিসা নিচ্ছেন তার ওপর এবং কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন বা কোম্পানির সরাসরি নিচ্ছে কিনা তার উপর ভিত্তি করে।

  • প্রাইভেট ড্রাইভিং ভিসা নিতে সম্ভাব্য খরচ হতে পারে সাধারণত ১ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত এ ভিসার আবেদনের মধ্যে মেডিকেল ও ট্রাভেল এজেন্সির ফ্রি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  • কমার্শিয়াল ড্রাইভিং ভিসা বা কোম্পানির ভিসা নিতে সম্ভাব্য খরচ ২ লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানি ফ্রি ভিসা দেয় তখন শুধু মেডিকেল ও ট্রাভেল খরচ দিতে হয়।  এক্ষেত্রে টাকা কমে ১ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মত লাগতে পারে। তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ভালো কিছু কোম্পানি খরচের একটি বড় অংশগ্রহণ করে।
  • ডেলিভারি ড্রাইভিং ভিসা এই ভিসায় আবেদন করতে খরচ সম্ভব ও ২ লাখ থেকে ৩ লক্ষ টাকার মত লাগতে পারে এই ভিসায় ইনকামের সুযোগ সব চাইতে বেশি থাকলেও খরচ তুলনামূলক একটু বেশি হয়।
এসব কিছুর পরে অতিরিক্ত খরচ হিসেবে পাসপোর্ট ফি, মেডিকেল টেস্ট, ডকুমেন্ট প্রসেসিং, বিমানের টিকিট, এজেন্সি ফি ইত্যাদি উপর নির্ভর করে অতিরিক্ত ৫০০০০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যয় হতে পারে।

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে কত বয়স লাগে

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে সর্বনিম্ন বয়স লাগে ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ বয়স হতে হয় ৪৫ বছর তবে কিছু ক্ষেত্রে ৫০বছর বয়স পর্যন্ত গ্রহণযোগ্যতা পায়। কুয়েতে সরকার সাধারণত ২১ বছরের নিচে কাউকে ভিসা দেয় না কারণ ড্রাইভিং লাইসেন্স ও পেশাগত কাজের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া জরুরী। ৪৫ বছরের উপর বেশিরভাগ কোম্পানি কর্মী হিসেবে নিতে যায় না কারণ তাদের ধারণা বয়স বাড়লে শারীরিক সক্ষমতা কমে যেতে পারে।
কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে সবচাইতে উত্তম সময় হয় ৩৫ বছরের আশেপাশে কেননা এই বয়সে সুযোগ সবচেয়ে বেশি থাকে। অভিজ্ঞতা থাকে তাই অনেক কোম্পানি এই বয়স সীমার মধ্যে কর্মী খুঁজে। আপনার বয়স যদি ২১ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে হয় এবং আপনার গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পাওয়ার সুযোগ ভালো। তবে সব সময় নির্ভরযোগ্য এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করে এবং বয়স সহ অন্যান্য যোগ্যতা পূরণ করছেন কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করুন। 

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার যোগ্যতা ও শর্ত

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতাও শর্ত পূরণ করতে হবে এইসব শর্ত মেনে চললেই তবে আপনি কুয়েতে বৈধ ভাবে ড্রাইভার এর চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রাথমিক যোগ্যতা হিসেবে বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণযোগ্য হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা অন্তত অষ্টম শ্রেণী পাস হতে হবে তবে কিছু কোম্পানি এসএসসি পাস পর্যন্ত চাইতে পারে।

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় আবেদন করতে হলে আপনার অবশ্যই বৈধ দেশীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন। পূর্বের গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো বিশেষ করে প্রাইভেট কার, বাস, পিকআপ বা ডেলিভারি কাজে নিযুক্ত থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন। এ সকল কিছুর পাশাপাশি ভালো আচরণ ও শারীরিক সুস্থতাও থাকতে হবে। এক্ষেত্রে মেডিকেল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হবে ও বড় কোন অপরাধে রেকর্ড থাকা যাবে না তাহলে ভিসা না পেতেও পারেন।

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় আবেদন প্রক্রিয়া

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নিচে আমি আপনার জন্য সহজ ভাষায় পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করে দিলাম যেন আপনি নিজে থেকেই আবেদন করতে পারেন। কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসার জন্য প্রথমেই আপনাকে কুয়েতের কোন কোম্পানি বা নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ড্রাইভারের চাকরির অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে কেননা এটি ছাড়া ভিসা আবেদন করা সম্ভব নয়। এরপর পরবর্তী ধাপে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখতে হবে যেমনঃ
  • কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদের পাসপোর্ট থাকতে হবে
  • সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি থাকতে হবে
  • দেশি অথবা ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে
  • মেডিকেল রিপোর্ট থাকতে হবে
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট রাখতে হবে
  • চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে
কুয়েতে-ড্রাইভিং-ভিসায়-বেতন-ও-সুযোগ-সুবিধা
এ সকল কাগজপত্র ঠিক রাখার পরে বাংলাদেশে অবস্থিত কুয়েতের দূতাবাসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। 
উপরে উল্লেখিত আবেদন ফরম বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে পারবেন। সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে জমা দেওয়ার পর ভিসা প্রসেসিং শুরু হবে এবং এটি সাধারণত কয়েক সপ্তাহ সময় নিতে পারে। 

কুয়েতে ড্রাইভারের কাজের সময় ও ছুটি

কুয়েতে ড্রাইভার দের সাধারণত দিনে ৮থেকে ১০ ঘন্টা পর্যন্ত ডিউটি টাইম হয়ে থাকে। কিছু কোম্পানিতে এটি কম ও বেশিও হতে পারে। তবে অতিরিক্ত কাজ হিসেবে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ করলে ওভারটাইম ভাতা দেওয়া হয়। ওভারটাইম রেট সাধারণ বেতনের চেয়ে একটু বেশি হয়ে থাকে।
কুয়েতে সাধারণত শুক্রবারে সাপ্তাহিক ছুটি থাকে, তবে কিছু কোম্পানিতে শুক্র ও শনিবার ছুটি দেয় তবে এটা খুব একটা প্রচলিত না। জরুরি প্রয়োজনে শুক্রবারেও কাজ করতে হতে পারে এ ক্ষেত্রে আলাদা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। একটানা এক বছর কাজ করলে সাধারণত ৩০ দিনের ছুটি দেওয়া হয় এবং এই ছুটিতে অনেকেই দেশে ফিরে আসেন এই ছুটির একটি বিশেষ দিক হচ্ছে এই ছুটি চলাকালীন শ্রমিক বেতন পেয়ে যায়। এছাড়া আবশ্যিক সরকারি ছুটি যেমন দুই ঈদে ছুটি পায় এবং অসুস্থ হলে পাওয়া যায় তবে সঠিক কাগজপত্র থাকতে হবে।

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব ও যেতে কত সময় লাগে

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যাতায়াত এখন পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়েছে কারণ এখন বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে নিয়মিত ফ্লাইট চলাচল করছে বাংলাদেশ থেকে কুয়েতের দূরত্ব আকাশপথে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ কিলোমিটার বা ২৭০০ মাইল। এই দূরত্ব বিমানে অতিক্রম করতে সাধারণত ৫ থেকে ৭ ঘন্টা সময় লাগে ফ্লাইটের টাইপ অনুযায়ী।

ননস্টপ বা সরাসরি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে কুয়েত সিটি পর্যন্ত পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ছয় ঘন্টা এবং ওয়ান স্টপ বা একটি যাত্রা বিরতি ঢাকা থেকে কুয়েত সিটি পর্যন্ত একবার একাধিক যাত্রা বিরতি থাকলে সময় বেড়ে দাঁড়ায় ১০ থেকে ১৬ ঘন্টা। তবে ওয়ান স্টপ ফ্লাইটের টাইম এর উপর নির্ভর করে।বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে সবচেয়ে দ্রুত ও আরামদায়ক উপায় হল নন স্টপ ফ্লাইট যারা সস্তা ভাড়া চান তারা ওয়ানস্টপ ফ্লাইট বেছে নিতে পারেন যদিও এতে সময় বেশি লাগে।

উপসংহারঃ কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন ও সুযোগ সুবিধা

কুয়েতে ড্রাইভিং ভিসায় বেতন কেমন কি ধরনের কাজ করতে হয় এবং ভিসা পেতে কি যোগ্যতা লাগে। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলে, দেখা যাচ্ছে অভিজ্ঞতা অনুসারে কাজের ধরনের অনুযায়ী বেতন ভিন্ন হয়ে থাকে। কারো ক্ষেত্রে এটি  ৮০দিনার আবার কারো ক্ষেত্রে ১৫০ দিনার পর্যন্ত হতে পারে। কাজের সময়, ছুটি, ওভারটাইম এবং অন্যান্য সুবিধা ও কোম্পানির ভেদে পরিবর্তন হয়। তাই বিদেশ যাওয়ার আগে সঠিক তথ্য জেনে নির্ভরযোগ্য মাধ্যমে আবেদন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা আজকের মত শেষ করছি।

আশা করি এই আর্টিকেলে উল্লিখিত তথ্যগুলো কুয়েতে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতে ইচ্ছুক পাঠকদের জন্য উপকারী হবে। ভিসা ও বিদেশ যাত্রা সংক্রান্ত যেগুলো প্রশ্ন থাকলে যোগাযোগ করুন অথবা মন্তব্য করুন। ছোটখাটো ভুল ত্রুটি ও বানান ভুল ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অল অভার বিডি ২৪ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন।প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।;

comment url